গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৭৩ জন। গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চালানো এই হামলা চলমান সামরিক অভিযানের অংশ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর ইসরায়েল গাজায় যে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল, সেটি দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। শুক্রবারের হামলার পর এখন পর্যন্ত মোট প্রাণ হারিয়েছেন ৫১ হাজার ৬৫ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জন। নিহত ও আহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ২৫১ জনের মধ্যে এখনো অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করছে ইসরায়েল। জিম্মিদের মুক্ত করতে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।
গত ১৯ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক চাপে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল ইসরায়েল। কিন্তু গত ১৮ মার্চ থেকে আবার শুরু হয় দ্বিতীয় দফার অভিযান। সেই অভিযানে শুধু গত কয়েক সপ্তাহেই প্রাণ হারিয়েছেন দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
এদিকে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বহুবার ইসরায়েলকে সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানালেও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার সাফ কথা, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল না করা পর্যন্ত এবং সব জিম্মিকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে।
গাজায় দফায় দফায় হামলা, ত্রাণ প্রবেশে বাধা, হাজারো শিশু-নারীর মৃত্যু এবং গণবিধ্বংসী ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালত আইসিজেতে গণহত্যার মামলাও চলমান রয়েছে। নিজ দেশেও যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। তবুও থেমে নেই গাজা উপত্যকায় বোমা ও বারুদের ধ্বংসযজ্ঞ।