রমজানজুড়ে স্থিতিশীল থাকা সবজির বাজার ঈদের পরপরই চড়া হয়ে উঠেছে। রাজধানীর বাজারে এখন প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে, কাঁকরোল ও গোল বেগুনের মতো সবজির কেজি ১৪০ ও ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এসব দাম সামলানো হয়ে উঠেছে কঠিন।
শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, সেগুনবাগিচা ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দামই ৭০-৮০ টাকার নিচে নেই। কাঁকরোল প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, গোল বেগুন ১০০, লম্বা বেগুন ৮০, ঢ্যাঁড়স ও চিচিঙ্গা ৭০, ঝিঙা ও ধুন্দুল ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
একইসঙ্গে করলা, কাঁচা মরিচ, বরবটি, কচুর লতি, শসা, পেঁপে, মুলা, আলু, গাজরসহ অন্যান্য সবজির দামও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বাজারে এখন সবচেয়ে কমদামি সবজিও ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।
সবজি কিনতে আসা চাকরিজীবী সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, “যে হারে দাম বাড়ছে, তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে সবজি কেনা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং না করলে এটা চলতেই থাকবে।”
একই সুরে কথা বলেন আরেক ক্রেতা এরশাদ আলী। তার ভাষায়, “৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই, বাকি সব কেজিতে ৮০-১০০ টাকা। প্রতিদিন দাম বাড়ছে, কমার কোনো লক্ষণ নেই।”
তবে সবজি ব্যবসায়ীদের দাবি, দাম বাড়ার পেছনে আছে মৌসুমের শেষ এবং সরবরাহ সংকট। সেগুনবাগিচার বিক্রেতা তৈয়ব আলী বলেন, “শীতকালীন সবজি শেষ হয়ে গেছে, নতুন মৌসুমের সবজি বাজারে আসতে সময় লাগবে। তাই এখন কিছুটা বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।”
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, “আমাদের বাজারে দাম তুলনামূলক কম হলেও রাজধানীর অন্য বাজারগুলোতে পরিবহন, দোকান ভাড়া ও শ্রমিক খরচে দাম বেড়ে যায়। তবে নতুন সবজি উঠলেই দাম আবার স্বাভাবিক হবে।”
সব মিলিয়ে ঈদের পর রাজধানীর সবজি বাজারে হঠাৎ দেখা দেওয়া এই মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে উঠেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে বাজারে নতুন সবজি এলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তিদায়ক হবে।