শনিবার
২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫
১১ই মাঘ, ১৪৩১

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি পোলট্রি শিল্পের, স্থিতিশীল বাজারের প্রত্যাশা

Fresh News রিপোর্ট
জানুয়ারি ৪, ২০২৫
১:৪৭ অপরাহ্ণ

ডিম ও মুরগির বাজারে অস্থিরতার জন্য কর্পোরেট কোম্পানির ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেটকে দায়ী করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। সংগঠনটি বলেছে, সিন্ডিকেট ভাঙা ছাড়া এই খাতে স্থিতিশীলতা ফিরবে না।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিপিএ’র সভাপতি সুমন হাওলাদার অভিযোগ করেন, প্রান্তিক খামারিরা দেশের ৮০ শতাংশ ডিম ও মুরগি উৎপাদন নিশ্চিত করলেও কর্পোরেট গ্রুপগুলো তাদের কৌশলগত বাজার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাদের দাবি, কর্পোরেট গ্রুপের তুলনায় প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় তারা বাজারে টিকে থাকতে পারছেন না।

সংগঠনের দাবি অনুযায়ী, প্রান্তিক খামারিদের একটি ডিম উৎপাদনে খরচ হয় ১০.৫০ থেকে ১১ টাকা, যেখানে কর্পোরেট কোম্পানিগুলো তা করতে পারে মাত্র ৮-৯ টাকায়। একইভাবে ব্রয়লার এবং সোনালি মুরগির উৎপাদন খরচেও কর্পোরেটের তুলনায় প্রান্তিক খামারিদের ব্যয় বেশি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আসন্ন রমজান উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে ডিম ও ফ্রোজেন মুরগি বিক্রির জন্য ঢাকা শহরের ২০টি পয়েন্টে বিপিএ কার্যক্রম শুরু করবে। পরে এটি ১০০ পয়েন্টে বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে এ উদ্যোগ সফল হলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।

বিপিএ দশটি দাবি উত্থাপন করেছে, যার মধ্যে কর্পোরেট কোম্পানির ডিম ও মুরগি উৎপাদনের সীমাবদ্ধতা, সিন্ডিকেট বন্ধ, সঠিক বাজার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং প্রান্তিক খামারিদের ঋণ-ভর্তুকি প্রদান অন্তর্ভুক্ত। তারা সরকারের কাছে পোলট্রি খাতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরির আহ্বান জানিয়েছে, যাতে কর্পোরেট কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্য বন্ধ হয়।

সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সরকার যদি ফিড এবং মুরগির বাচ্চার দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তবে প্রান্তিক খামারিরা টিকে থাকবে এবং ডিম ও মুরগির বাজারে অস্থিতিশীলতা দূর হবে।