বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ ঘোষণা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বাড়ি ভেঙে সেখানে শহীদ পরিবারের জন্য ভবন নির্মাণ করে ফ্ল্যাট উপহার দিতে হবে। বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এমন আহ্বান জানান।
স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, “খুনি ও ভোটচোর ফ্যাসিস্টদের বাড়িঘর ভেঙে শহীদ পরিবারদের থাকার ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি।” কিছুক্ষণ পর আরও একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “এটি এই প্রজন্মের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করছে।”
এদিকে, বুধবার রাত ৯টার দিকে “লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২” কর্মসূচির ডাক দেয় জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স। পূর্বঘোষিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সেখানে উপস্থিত হয় এবং বিক্ষোভ শুরু করে।
বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে প্রবেশমুখে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়। এরপর বুলডোজার ব্যবহার করে বাড়িটি আংশিক গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “আবু জাহেলের বাড়ি এখন পাবলিক টয়লেট!” একই ধরনের পোস্ট দিয়েছেন আরও কয়েকজন ছাত্রনেতা। সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “এটি ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচিত্র।”
অন্যদিকে, আন্দোলনের আরেক নেতা রিফাত রশিদ ঘোষণা দিয়েছেন, “সারাদেশের মানুষ এখন ঐক্যমতে পৌঁছেছে যে, আওয়ামী মুজিববাদী ফ্যাসিবাদের কেবলা ধানমন্ডি ৩২ গুঁড়িয়ে দিতে হবে। এই ঐক্যমতকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভ এবং ধানমন্ডি ৩২-এ হামলার ঘটনা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের কর্মসূচি আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।