এক জরিপে উঠে এসেছে, দেশে মুদ্রিত পত্রিকার পাঠকসংখ্যা কমে গেছে, ৭৩ শতাংশ মানুষ ছাপানো পত্রিকা পড়েন না। রেডিওর জনপ্রিয়তাও তলানিতে, ৯৪ শতাংশ জানিয়েছেন তারা রেডিও শোনেন না। তবে অনলাইনে সংবাদপাঠের প্রবণতা বেড়েছে।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এই জরিপ পরিচালনা করে। এটি দেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম-ব্যবহার বিষয়ক বিস্তৃত গবেষণা। এতে দেখা গেছে, রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপকে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে বড় বাধা মনে করেন পাঠকরা। যদিও প্রচলিত গণমাধ্যমের প্রতি মানুষের আস্থা পুরোপুরি হারিয়ে যায়নি।
জরিপে অংশ নেওয়া ৬৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তারা টেলিভিশন দেখে, তবে ৫৩ শতাংশ টেলিভিশন দেখা জরুরি মনে করেন না। অন্যদিকে, ৫৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোনে অনলাইন সংবাদ সংস্করণ পড়েন, যা মুদ্রিত পত্রিকার চেয়ে অনেক বেশি।
গণমাধ্যম ব্যবহারের জন্য ৮৮ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোনকে প্রধান মাধ্যম হিসাবে বেছে নিয়েছেন। কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সংখ্যা মাত্র ৭ শতাংশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর মধ্যে সংবাদ গ্রহণের জন্য ৩১ শতাংশ মানুষ ফেসবুকে আস্থা রাখেন, আর ইউটিউবের ক্ষেত্রে এই হার ১৬.৫ শতাংশ।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, মানুষ এখন আর শুধু প্রচলিত গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল নয়। তারা সহজলভ্য ও দ্রুতগতির ডিজিটাল মাধ্যমকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যা গণমাধ্যমের ভবিষ্যৎ ব্যবহারে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।