নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। একই সময় চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সালের বাড়িতেও হামলা ও লুটপাট চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে এসব হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত ৮টার দিকে শতাধিক যুবক লাঠিসোটা নিয়ে মঈন ইউ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার ছোট ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাবেদ ইউ আহমেদের দ্বিতল বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং ড্রইংরুমে আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রায় একই সময়, হামলাকারীরা পার্শ্ববর্তী এলাকায় সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন ফয়সালের বাড়িতেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। হামলাকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা ছিল। তবে হামলার সময় উভয় বাড়ির বাসিন্দারা অনুপস্থিত থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বাড়ির পাহারাদার আতঙ্কে পালিয়ে যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম দাবি করেন, এই হামলার সঙ্গে তাদের সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বলেন, “চৌমুহনীর ঘটনাটি রাজনৈতিক, এর সঙ্গে ছাত্রদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাছাড়া, তাদের কর্মসূচি ছিল দিনের বেলায়, রাতের ঘটনায় তারা জড়িত নয়।”
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, হামলাকারীরা সাবেক সেনাপ্রধানের ছোট ভাইয়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর পর নিচতলার সোফায় আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর একই কায়দায় সাবেক মেয়র ফয়সালের বাড়িতেও হামলা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।