ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা, এফএ কাপজয়ী মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী এখন প্রস্তুত বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে নামতে। গতকাল রাতেই তিনি যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হতে পারে তার অভিষেক।
বাংলাদেশ দলে তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। বিশেষ করে মিডফিল্ডে কৌশলগত পরিবর্তন আসতে পারে তার আগমনে। অন্যদিকে, আরেক প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলাম দলে জায়গা পাননি, তবে হামজার খেলা প্রায় নিশ্চিত। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, মিডফিল্ডেই খেলতে চান এবং বাংলাদেশ দলের ৮ নম্বর জার্সি পরতে আগ্রহী।
ক্লাব ক্যারিয়ারে হামজা চৌধুরী বেশিরভাগ ম্যাচ খেলেছেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে, কিছু ম্যাচে ছিলেন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার এবং সাম্প্রতিক সময়ে শেফিল্ড ইউনাইটেডে ডাবল পিভট রোলে খেলছেন। তার আগমনে বাংলাদেশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কারণ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে বর্তমানে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া খেলছেন।
জামাল ও হামজা একসঙ্গে খেললে রক্ষণ আরও শক্তিশালী হবে, তবে আক্রমণ ভাগে কিছুটা দুর্বলতা আসতে পারে। ক্যাবরেরা কি জামালকে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে ঠেলে দিয়ে হামজাকে ডিফেন্সিভ ভূমিকায় রাখবেন, নাকি দুজনকেই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে ব্যবহার করবেন—এটা এখন আলোচনার বিষয়।
এদিকে, দলে পাপন সিংহ ও মোহাম্মদ হৃদয়ও আছেন, যারা সাম্প্রতিক সময়ে ভালো ছন্দে খেলছেন। পাপন তো সর্বশেষ ম্যাচে জয়সূচক গোলও করেছেন। তাই ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ কতটা আক্রমণাত্মক হতে চায়, তার ওপর নির্ভর করবে একাদশ কেমন হবে।
হামজার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সবার কৌতূহল বাড়ছে, আর মিডফিল্ড নিয়ে বাংলাদেশের এই ‘মধুর সমস্যার’ সমাধান কীভাবে হবে, সেটাও এখন দেখার বিষয়!