দীর্ঘ ছয় বছর পেরিয়ে গেছে, তবুও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয়ের মুখ দেখেনি ব্রাজিল। শুধু জয় নয়, গোলেরও দেখা পায়নি সেলেসাওরা। এই সময়ে চারবার মুখোমুখি হয়ে তিনবার হেরেছে, আর এক ম্যাচে হয়েছে ড্র। তবে এবারের লড়াইয়ে সেই হতাশার ইতি টানতে চায় ব্রাজিল, আর তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে একেবারে যুদ্ধজয়ের মতো করেই।
বাংলাদেশ সময় ২৬ মার্চ ভোরে আবারও আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল। ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এবার কোনোভাবেই মিস করতে চায় না জয় ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ। রাফিনিয়া, ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও রদ্রিগোর মতো তারকারা রয়েছেন দারুণ ফর্মে। বিশেষ করে রাফিনিয়া যেন কিছুটা বাড়তি উদ্দীপনায় মাঠে নামছেন। ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে কিংবা জাতীয় দলের জার্সিতে – দুই জায়গাতেই তার পারফরম্যান্স নজরকাড়া।
সম্প্রতি ব্রাজিলের কিংবদন্তি রোমারিওর ইউটিউব চ্যানেল ‘রোমারিও টিভি’-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাফিনিয়া স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন আর্জেন্টিনাকে হারানোর অঙ্গীকার। শুধু জয় নয়, গোল করার প্রতিজ্ঞাও করেছেন তিনি। বলেন, “আমরা তাদের অবশ্যই হারাব। গুঁড়িয়ে দেব। মাঠে এবং প্রয়োজন হলে মাঠের বাইরেও। নিশ্চিতভাবে আমি গোল করতে যাচ্ছি। আমরা যা আছে সব নিয়ে মাঠে নামব।”
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ের আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচগুলোতে উত্তেজনা যেন বারবারই মাত্রা ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রথম লেগে মারাকানায় দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা, যেখানে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা। পরে সেই ঘটনার জেরে দুই দেশের ফুটবল ফেডারেশনকে শাস্তি দেয় ফিফা।
যখন রাফিনিয়া একে দেখছেন যুদ্ধের মতো, তখন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি চান মাঠের লড়াইটা যেন সীমিত থাকে ফুটবলের মধ্যেই। তিনি বলেন, “মাঠে আমরা প্রতিপক্ষ, কিন্তু বাইরে আমরা বন্ধু। আমি খেলোয়াড়দের মন্তব্য নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, তবে এটা ফুটবলই হওয়া উচিত, এর বেশি কিছু নয়।”
মাঠের উত্তেজনা, তারকাদের প্রতিজ্ঞা আর অতীতের প্রতিপক্ষতার হিসাব মিলিয়ে ভোররাতের এই লড়াই নিয়ে বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবার কি তবে ছয় বছরের শঙ্কার অবসান ঘটিয়ে হাসবে ব্রাজিল? অপেক্ষা মাত্র কয়েক ঘণ্টার।