শনিবার
১৯শে এপ্রিল, ২০২৫
৬ই বৈশাখ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

ঘুমিয়ে থাকা বাফুফের ওয়েবসাইটে নেই সাবিনাদের সাফ জয়, হামজার নামও

Fresh News রিপোর্ট
এপ্রিল ৪, ২০২৫
৯:০৪ অপরাহ্ণ

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যতটা তাৎক্ষণিকতা ও মানুষের কাছে পৌঁছার সুযোগ দেয়, একটি দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনের মূল পরিচয় থেকে যায় তার ওয়েবসাইটেই। অথচ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এখনও সেই ডিজিটাল পরিসরে বেশ পিছিয়ে রয়েছে। ফেসবুক পেজে ভিডিও, ছবি, লাইভ ও নানা পোস্টে সক্রিয়তা থাকলেও বাফুফের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট যেন সময়ের ক্যালেন্ডারে থেমে আছে।

গত বছরের ৩০ অক্টোবর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। দেশের গর্বের সেই অর্জন বাফুফের ওয়েবসাইটে নেই। অথচ পুরুষ দলের সাফ জয় বা যুব দলের ছবি এখনও দৃশ্যমান। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় হামজা চৌধুরীর নাম বা কোনো ছবিও খুঁজে পাওয়া যায় না ওয়েবসাইটে। জাতীয় দলের অপশন থাকলেও নারী ও পুরুষ উভয় দলের আপডেট একেবারে অনুপস্থিত।

২০২৩ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হয় বাফুফের নির্বাচন। নির্বাচনের পরপরই সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের প্রোফাইল ওয়েবসাইটে থাকায় প্রশ্ন ওঠে। পরে তা সরালেও নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কোনো প্রোফাইল কিংবা বক্তব্য আজও যোগ হয়নি। প্রেসিডেন্ট প্রোফাইলে ক্লিক করলে কোচদের ছবি ভেসে ওঠে—এ যেন ফেডারেশনের নিজস্ব অনীহাই তুলে ধরে।

ওয়েবসাইটে নেই কোনো পৃষ্ঠপোষকের লোগোও। পুষ্টি নামক একটি বেভারেজ পার্টনার দীর্ঘদিন ধরে থাকলেও তার কোনো উল্লেখ নেই। ইউসিবি ও দৌড়ের মতো নতুন স্পন্সরদের নাম তো থাকাই স্বাভাবিক নয়।

বাফুফের ডিজিটাল মিডিয়া ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম জানান, তারা ইতোমধ্যে ফেসবুক পেজের কার্যক্রম জোরদার করেছেন এবং অচিরেই ওয়েবসাইটের উন্নয়নেও একটি এজেন্সি নিয়োগ করবেন। তবে জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে এখনও কোনো কার্যকর উদ্যোগের আভাস মেলেনি।

এদিকে পাশ্ববর্তী ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইট তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি তথ্যসমৃদ্ধ ও আধুনিক। শুধু কেন্দ্রীয় ফেডারেশন নয়, প্রদেশভিত্তিক ফুটবল সংস্থারও রয়েছে নিজস্ব সাইট, যেখানে ফুটবলার, কোচ, মাঠ ও বাজেট সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য উন্মুক্তভাবে পাওয়া যায়।