বিশ্বজুড়ে পাসপোর্টের মান নির্ধারণে নতুন তালিকায় শীর্ষ অবস্থান দখল করেছে ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আয়ারল্যান্ড। কর, নাগরিক স্বাধীনতা, ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগসহ নানা দিক বিবেচনায় এ স্থান পেয়েছে দেশটি। আন্তর্জাতিক পরামর্শক সংস্থা নোমাড ক্যাপিটালিস্ট প্রকাশিত হালনাগাদ সূচকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত এই বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে আয়ারল্যান্ড পেয়েছে ১০৯ স্কোর। দেশটির নাগরিকরা বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ভিসামুক্ত কিংবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন। তবে শুধু ভিসা সুযোগ নয়, কর কাঠামো ও দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ, ব্যক্তি স্বাধীনতা—সব মিলিয়ে এগিয়ে রয়েছে আয়ারল্যান্ড।
তালিকার বিপরীত প্রান্তে অবস্থান বাংলাদেশের। ২০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্ট রয়েছে ১৮২তম স্থানে। মাত্র ৩৮ স্কোর পাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকরা বর্তমানে ৫০টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারছেন। এই অবস্থানে থাকা মানে বৈশ্বিক পাসপোর্ট মর্যাদায় বাংলাদেশ এখনও অনেকটাই পিছিয়ে।
নোমাড ক্যাপিটালিস্টের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের আগের অবস্থান নেপালের (৩৯.৫ স্কোর) এবং পিছনে রয়েছে মিয়ানমার (৩৭.৫ স্কোর)। প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান ১৪৮তম (স্কোর ৪৭.৫) এবং পাকিস্তানের ১৯৫তম (স্কোর ৩২)।
২০২৩ সালে এই তালিকায় শীর্ষে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। এবার দেশটি দশম স্থানে নেমে গেলেও ভিসামুক্ত দেশসংখ্যা ১৭৯টি—যা আয়ারল্যান্ডের তুলনায় তিনটি বেশি। তবে সূচক তৈরির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভিসা সুবিধা নয়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির বিভিন্ন মানদণ্ড বিবেচনা করে চূড়ান্ত অবস্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, একটি দেশের পাসপোর্ট মান কেবল কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়, দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রতিফলন ঘটায়। সেই বিবেচনায় বাংলাদেশকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে।