গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পর গত ১৮ মার্চ থেকে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক শিশু নিহত বা আহত হচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায়। জাতিসংঘের ফিলিস্তিন ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান ফিলিপ লাজ্জারানি এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
লাজ্জারানি এক্স-এ দেওয়া পোস্টে লেখেন, “কোনো ন্যায়সঙ্গত কারণেই শিশুদের হত্যা বৈধ হতে পারে না। ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজাকে শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ অঞ্চলে পরিণত করেছে। এমন এক যুদ্ধে তারা প্রাণ হারাচ্ছে, যা তারা শুরু করেনি। এটি মানবতার ওপর এক ভয়ংকর কলঙ্ক।”
গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল প্রতিদিনই গাজায় স্কুল, হাসপাতাল, আশ্রয় কেন্দ্র ও শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির পর এসব হামলা বেড়েই চলেছে। শনিবার দখলদার বাহিনীর হামলায় আরও ২৯ জন নিহত হন, যার ফলে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ হাজার ৬০০। তবে জাতিসংঘের হিসাবে এই সংখ্যা ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই গাজার অন্তত ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অনিরাপদ ও খোলা জায়গায় বসবাস করছেন। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সেখানে কোনো খাদ্য, ওষুধ বা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে গাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েলের অভিযান বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। গাজার প্রতিটি অঞ্চলেই ধ্বংস ও মৃত্যু ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিদিন নতুন করে।