পরমাণু ইস্যুতে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার পর সরাসরি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন, শনিবার (১২ এপ্রিল) ওমানে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, তেহরানের সঙ্গে “খুব উচ্চ পর্যায়ের” বৈঠক হতে যাচ্ছে এবং এটি সফল হলে চুক্তিটি হবে “দুর্দান্ত”, তবে ব্যর্থ হলে ইরানের জন্য “বড় বিপদ” অপেক্ষা করছে। একইসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইরানের হাতে কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্র থাকা চলবে না।
ইরানের পক্ষ থেকেও বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে জানান, “এই বৈঠক একটি সুযোগ, একইসাথে একটি পরীক্ষা। এখন বল আমেরিকার কোর্টে।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। এরপর থেকেই ইরান চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করে, যা পরমাণু অস্ত্রের ঝুঁকি বাড়ায়।
এখন, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এবং আন্তর্জাতিক চাপের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান আবার আলোচনার টেবিলে ফিরছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই আলোচনা কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অঞ্চলটিতে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার একটি সম্ভাব্য পথ খুলে দিতে পারে।