ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির হাতে সরাসরি চিঠি তুলে দিয়েছেন সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান। চিঠিটি পাঠিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। বৃহস্পতিবার তেহরানে খামেনির সঙ্গে বৈঠককালে এ চিঠি হস্তান্তর করা হয়।
চিঠিতে কী লেখা ছিল তা প্রকাশ করা না হলেও বৈঠকে খামেনি সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইরান ও সৌদি আরব একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করতে পারে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা উভয় দেশের জন্যই মঙ্গলজনক হবে। তিনি পশ্চিমাদের ওপর নির্ভরশীলতার পরিবর্তে আঞ্চলিক ঐক্যের ওপর জোর দেন।
সৌদি রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এসপিএ জানায়, এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পারস্পরিক সম্পর্ক ও অভিন্ন স্বার্থের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০০৬ সালের পর এই প্রথম খামেনি কোনো সৌদি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।
ইরানে সফরকালে প্রিন্স খালিদ ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সুপ্রিম সেক্রেটারি আলী আকবর আহমাদিয়ান এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরির সঙ্গেও বৈঠক করেন। এসব আলোচনায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারে বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, “বাহ্যিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই ইরান-সৌদি যৌথভাবে অঞ্চলের সমস্যার সমাধান করতে পারে।”
২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় দুই দেশ পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয়। ২০১৬ সালের কূটনৈতিক ছেদ মেরামতের পর এটিই দুই দেশের মধ্যকার সর্বোচ্চ পর্যায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ।