ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন ২৫টি মাঠ এখন সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, কোনো ক্লাবের অধীনে আর এসব মাঠ পরিচালিত হবে না।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠে ডিএনসিসি ও বনানী স্পোর্টস এরেনা আয়োজিত ক্রিকেট কার্নিভালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রশাসক জানান, ড্যাপ অনুযায়ী শুধুমাত্র ডিএনসিসি এলাকায় মাঠ ও পার্কের জন্য বরাদ্দ আছে সাড়ে ৫০০ একর জায়গা, যা দখলের কবলে পড়ছে। রাজউকের সঙ্গে যৌথভাবে এ জায়গাগুলো উদ্ধারে কাজ করছে ডিএনসিসি। তিনি বলেন, এসব জায়গার খাজনা-খারিজ বন্ধ করে সাইনবোর্ড বসানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ঢাকার সব পাবলিক স্পেস উদ্ধার করা হবে।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “পাবলিক মাঠে ক্লাবের দখলের কারণে সাধারণ মানুষ খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এটা সামাজিক বৈষম্য তৈরি করে, যা বন্ধ করতে হবে। মাঠ হবে সবার জন্য। শিশুদের খেলাধুলা, সাধারণ মানুষের হাঁটাচলা— এগুলো নাগরিক অধিকার।”
তিনি জানান, বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি মাঠসহ অনেক মাঠেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য কেয়ার গিভিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এই মডেল অন্যান্য মাঠেও অনুসরণ করা হবে। দেখভাল করার জন্য গঠন করা হবে স্থানীয় কমিটি।
দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই মাসে বেশ কয়েকটি মাঠ উদ্ধার করেছেন বলেও জানান এজাজ। তিনি বলেন, “মিরপুরের প্যারিস রোড মাঠের অবৈধ মেলা গুঁড়িয়ে দিয়েছি। বাউনিয়ায় ১২ বিঘার একটি মাঠ উদ্ধার করে অলিম্পিক সাইজের ফুটবল মাঠ নির্মাণের কাজ করছি।”
তিনি জানান, বড় মাঠগুলোতে মায়েদের জন্য ক্লাব, শিশুদের খেলার জায়গা এবং প্রবীণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করছে ডিএনসিসি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ রফিক, হাবিবুল বাশার সুমন, জাবেদ ওমর বেলিম ও শাহরিয়ার নাফীস।