কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীর ধর্ষণ এবং সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। রোববার ভোরে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের পর ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে অভিযুক্ত ফজর আলী জনতার হাতে আটক ও প্রহৃত হন। তবে পরে তিনি পালিয়ে যান। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত কিছু লোক ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মুরাদনগর থানায় মামলা করা হয়।
এর আগে ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এ নিয়ে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে ওই নারী স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ফজর আলী ঘরের দরজা খুলতে বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
ভুক্তভোগীর স্বামী বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।