জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আবরার ফাহাদ ছিলেন আধিপত্যবাদ বিরোধী ছাত্র রাজনীতির প্রতীক। তার দেখানো পথেই এনসিপি বাংলাদেশপন্থি রাজনীতির ধারা এগিয়ে নিচ্ছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দিল্লি না ঢাকা’ স্লোগান উঠেছিল আবরার হত্যার প্রতিবাদী মিছিল থেকে। সেই স্লোগান আজো বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে প্রাসঙ্গিক।
নাহিদ ইসলাম জানান, আবরার বাংলাদেশের স্বার্থে কথা বলেছিলেন, আর সেই অপরাধেই তাঁকে হত্যা করে ভারতপন্থী ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে ছাত্রলীগ নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। তার মৃত্যু আধিপত্যবিরোধী রাজনীতিকে নতুন মাত্রা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই সারাদেশে শুরু হয় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নতুন ধারা।
তিনি বলেন, আবরার ফাহাদ থেকে শুরু করে আবু সাইদসহ যারা গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এনসিপি তাদের প্রত্যেককে স্মরণ করে এবং তাদের আত্মত্যাগকে ধারণ করে। ‘জুলাই পদযাত্রা’ শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনের আন্দোলনের অংশ।
নাহিদ আরও বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে আবরার হত্যাকাণ্ড ছিল জাতীয় রাজনীতির একটি বড় পরিবর্তনের সূচনা। তার মৃত্যু ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নতুন জোয়ার সৃষ্টি করে।
এ সময় আবরার ফাহাদের বাবা-মা, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এনসিপির যুব শক্তি ও শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেন এ আয়োজনে।