কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ১১ জুলাইকে ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ২০২৩ সালের ১১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্লকেড কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করে রাত ১১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন। তাদের সেই সাহসিক প্রতিরোধ সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল। সেই আন্দোলন বাংলাদেশের মানুষকে স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধই ছিল প্রথম বলিষ্ঠ প্রতিবাদ, যা পরবর্তীতে সারা দেশের আন্দোলনকারীদের সাহস জুগিয়েছে। এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল শাসকগোষ্ঠী, যার সূচনা কুমিল্লা থেকেই হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই মিনার’ স্থাপনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান এবং জানান যে, যেই স্থানটিতে ব্লকেড কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, সেখানে ‘প্রতিরোধ মিনার’ স্থাপন করা হবে। যাতে করে সাধারণ মানুষও এই আন্দোলনের স্মৃতি চিরকাল মনে রাখতে পারে।
তিনি আরও ঘোষণা দেন যে, জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি বাস উপহার দেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিমসহ অনেকে। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ‘জুলাই মিনার’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।