মঙ্গলবার
৫ই আগস্ট, ২০২৫
২১শে শ্রাবণ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন প্রধান উপদেষ্টা, যা যা আছে

Fresh News রিপোর্ট
আগস্ট ৫, ২০২৫
৮:৩৭ অপরাহ্ণ

গণঅভ্যুত্থানের পর বহু প্রত্যাশিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ অনুষ্ঠানে পাঠ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণাপত্রে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা আন্দোলনকারীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।

ঘোষণাপত্রে ৫ আগস্ট ২০২৪-এ বিজয়ী জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন তুলে ধরা হয় এবং জানানো হয়, এই অভ্যুত্থানকে উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে। ভবিষ্যৎ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এই ঘোষণাপত্র যুক্ত করার অঙ্গীকারও রাখা হয়।

ঘোষণাপত্রের মোট ২৮টি দফায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস, স্বাধীনতার বিকাশ, একনায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের উত্থান, জনগণের সংগ্রাম এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে অতীতের ভুলের স্বীকারোক্তির পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সংস্কারের রূপরেখাও দেওয়া হয়।

প্রথমাংশে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, ১৯৭২ সালের সংবিধান, বাকশাল, ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থান, ১/১১-এর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, এবং শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে গুম, খুন, দমন-পীড়নের বর্ণনা রয়েছে। এরপর ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে শেখ হাসিনার পদত্যাগ পর্যন্ত ঘটনাবলি তুলে ধরা হয়েছে।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হলো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করা এবং সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিষ্ঠিত করা। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য সকলের অংশগ্রহণে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এটি শুধুমাত্র শহীদদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠাই নয়, বরং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা হিসেবেও কাজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।