সোমবার
৪ঠা আগস্ট, ২০২৫
২০শে শ্রাবণ, ১৪৩২

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের পরিবর্তন প্রস্তাব

Fresh News রিপোর্ট
জুন ২৬, ২০২৫
১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিলের (এনসিসি) পরিবর্তে ‘সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কমিটি’ নামে একটি নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাব শনিবার (২৫ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর জানানো হয়।

বৈঠকে জানানো হয়, বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল ১০ বছর বিষয়ে পুনর্বিবেচনার শর্তে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য কোনো নতুন কমিশন বা কমিটি গঠনের বিষয়টি দেখতে চায়। ফলে এই বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর ১০ বছরের মেয়াদকাল নিয়ে চলমান আলোচনায় বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে এবং ঐকমত্যে পৌঁছানোর আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।

নতুন প্রস্তাবিত কমিটির নামের সঙ্গে এনসিসির কাঠামোয় তিনটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেখানে অ্যাটর্নি জেনারেল ও তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগের বিষয়গুলো বাদ দেয়া হয়েছে এবং শুধু সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়োগের দায়িত্ব কমিটিতে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।

কমিটিতে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, অন্যান্য বিরোধীদলের একজন প্রতিনিধি, রাষ্ট্রপতির একজন আইনজ্ঞ প্রতিনিধি এবং প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। এনসিসির সঙ্গে তুলনায় কিছু সদস্যের অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে।

বৈঠকে অংশ নেয়া কয়েকটি রাজনৈতিক দল নতুন প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে, তবে বিএনপি, এলডিপি, এনডিএম ও লেবার পার্টি এতে আপত্তি জানিয়েছে। স্বাগত জানানোর পাশাপাশি কিছু দল কমিটির কার্যক্রম, জবাবদিহিতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে আরও সুস্পষ্ট পরামর্শ দিয়েছে। ঐকমত্য কমিশন এসব বিষয় পর্যালোচনা করে আগামী সপ্তাহে একটি চূড়ান্ত প্রস্তাব পেশ করবে।

বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা জানান, বর্তমান সংবিধানের চার মূলনীতি রক্ষা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে, তবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, গণতন্ত্র, সামাজিক সুবিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও পক্ষপাতহীনতা এই পাঁচটি বিষয়ের ওপর অধিকাংশ দলের সম্মতি লক্ষ্য করা গেছে। পরবর্তী সময় আরও বিস্তারিত প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে।

আজকের আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, কমিউনিস্ট পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ মোট ৩০টির বেশি দল।

দ্রুত ঐকমত্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী রোববার (২৯ জুন) আবারও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা রয়েছে।