বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর পদে সর্বোচ্চ দশ বছর দায়িত্ব পালনের বিষয়ে শর্তসাপেক্ষে সম্মত হয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ (এনসিসি) মতো কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নির্বাহী ক্ষমতার কাজে বাধা দেয় বা হস্তক্ষেপ করে, তাহলে তারা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করবে না। এনসিসির মতো ব্যবস্থা থাকলে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দশ বছর নিয়ে তাদের আগের অবস্থানই থাকবে।
তাঁর মতে, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির মধ্যে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং এগুলো কার্যকর করার জন্য উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করতে হবে। সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য ‘নিয়োগ কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব এসেছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি ও প্রধান বিচারপতির মনোনীত বিচারপতি থাকবেন। তবে তিন বাহিনীর প্রধান ও অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ এ কমিটির আওতায় থাকবে না।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন সংস্কার করে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচার বিভাগ ও মুক্ত গণমাধ্যম থাকলে তা গণতন্ত্রের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শুধুমাত্র নির্বাহী ক্ষমতা কমিয়ে সুষ্ঠু রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব নয়।
বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দশ বছরের মেয়াদ নিয়ে এখনো চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়নি এবং এটি পেন্ডিং রয়েছে।