২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধে সম্পূরক ভোটার তালিকা প্রকাশের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি জানান, প্রায় ৪৪ লাখ নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত করে আগামী সপ্তাহেই এ তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হবে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। কমিশনার বলেন, ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে এ হালনাগাদ কার্যক্রম চালানো হয়। এতে বাদ পড়া ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬০২ জন নতুন করে নিবন্ধিত হয়েছেন। পাশাপাশি ২১ লাখ ৩২ হাজার ৫৯০ জন মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, আগামী আগস্টের মধ্যে দাবিদাওয়া ও আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। নারী ও পুরুষ ভোটারের মধ্যে ব্যবধানও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে, যা এখন প্রায় ১৮ লাখ।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৩০০ আসনের মধ্যে ২২১টির বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। কারিগরি কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলে পুরো খসড়া আসন বিন্যাস প্রকাশ করা হবে। ঢাকার আসন সংখ্যায় খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যার ভারসাম্য রক্ষা করেই নতুন বিন্যাস করা হবে।
নিবন্ধন আবেদন প্রসঙ্গে তিনি জানান, এবার ১৪৭টি আবেদন জমা পড়েছে, যেগুলোর মধ্যে ১৪৪টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন চেয়েছে। সঠিক আবেদনগুলোর মাঠপর্যায়ে যাচাই চলছে এবং যেসব আবেদনে ত্রুটি রয়েছে, তা পূরণের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ইসি সচিবালয় আইন সংশোধন, কর্মকর্তাদের আর্থিক ক্ষমতা পুনর্নির্ধারণ এবং এনআইডি সংশোধনের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয় সভায়। গত সাত মাসে ৯ লাখ এনআইডি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে এবং বর্তমানে মাত্র ৭৪ হাজার আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ধর্ম পরিবর্তনজনিত জটিলতাও কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আইনজীবী প্যানেল পুনর্বিন্যাস এবং প্রতীক তালিকা প্রসঙ্গে তিনি জানান, শাপলা প্রতীক প্রস্তাব করা হলেও তা তালিকাভুক্ত করা হয়নি। এনসিপি ও নাগরিক ঐক্য এ প্রতীক চাইলেও ইসি তা বিবেচনায় নেয়নি। বিধিমালা সংশোধন করে মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে।