জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ৫ আগস্ট বিকেলে ঘোষিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এতে জনগণের আকাঙ্ক্ষার যথাযথ প্রতিফলন ঘটেনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওই দিন বিকেলে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন। এতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানানো হয়। ঘোষণায় বলা হয়, আগামী নির্বাচিত সরকার একটি সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করবে। সেইসঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা ও আহত ও আন্দোলনকারীদের জন্য আইনি সুরক্ষার আশ্বাস দেওয়া হয়।
সরকারের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এ সমাবেশে অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডা. তাহের নিজে। তার সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং ডা. হামিদুর রহমান আযাদ।
ঘোষণাপত্র পাঠ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডা. তাহের জানান, এই ঘোষণার মধ্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ঘোষণার বাস্তবায়ন কবে থেকে শুরু হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি এবং সংবিধানের প্রস্তাবনায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত না করায় হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
তার মতে, ঘোষণায় বলা হয়েছে ভবিষ্যৎ সরকার এটি বাস্তবায়ন করবে, অথচ বর্তমান সরকারের এটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব ছিল। এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার ভঙ্গিতে উপস্থাপন করায় তিনি এবং দেশবাসী হতাশ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন।
