দেশের বাণিজ্যিক ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তান থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারবাহী জাহাজ পৌঁছেছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে এমভি ইউয়ান জিয়ান ফা ঝং নামের পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। এই জাহাজের আগমন দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।
৮১১ টিইইউস কনটেইনার বহন
জাহাজটি গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। এতে মোট ৮১১ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) কনটেইনার ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশের জন্য ১১৩ টিইইউস কনটেইনার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এবং করাচি থেকে আরও ৬৯৮ টিইইউস কনটেইনার তোলা হয়।
আমদানিকৃত পণ্য
জাহাজে থাকা কনটেইনারগুলোর মধ্যে ছিল—
- পরিশোধিত চিনি: ২৮৫ টিইইউস
- ডলোমাইট: ১৭১ টিইইউস
- সোডা অ্যাশ: ১৩৮ টিইইউস
- কাপড়ের রোল: ৪৬ টিইইউস
- আখের গুড়: ২০ টিইইউস
- আলু: ১৮ টিইইউস
- পুরোনো লোহার টুকরা, রেজিন ও কাপড়: ২০ টিইইউস
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আগত কনটেইনারে চিনি, খেজুর, লুব অয়েল এবং কিছু খাদ্যপণ্য ছিল।
আগের আগমন
এটি প্রথমবার নয়; গত ১১ নভেম্বর একই জাহাজ পাকিস্তান থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। তখন জাহাজটি ৩৭০ টিইইউস কনটেইনার নিয়ে এসেছিল। এর মধ্যে সোডা অ্যাশ, ডলোমাইট, কাঁচামাল, কাপড়, পেঁয়াজ, খেজুর, পুরোনো লোহার টুকরা এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ ছিল।
সময় ও খরচ সাশ্রয়
রিজেনসি লাইনস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা বলেন, সরাসরি জাহাজ আসার ফলে ব্যবসায়ীদের সময় ও খরচ উভয়ই সাশ্রয় হচ্ছে। আগে তৃতীয় কোনো বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি করতে হতো, যা সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল ছিল।
জাহাজের বিবরণ
পানামার পতাকাবাহী এই জাহাজটির দৈর্ঘ্য ১৮২ মিটার এবং প্রস্থ ৩০ মিটার। এটি চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত খালাস ও পরিবহন কার্যক্রমের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা
এবারের আগমন দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে সরাসরি যোগাযোগের সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করেছে। ব্যবসায়ী মহল এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, এই ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।
