বৃহস্পতিবার
২৩শে জানুয়ারি, ২০২৫
৯ই মাঘ, ১৪৩১

আমরা জনতার পক্ষে সত্য বলি

ডাকসু প্রসঙ্গে উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রদলের বাকবিতণ্ডা, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

Fresh News রিপোর্ট
জানুয়ারি ৩, ২০২৫
১১:০২ পূর্বাহ্ণ

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভা সিন্ডিকেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) বিষয়ক আলোচনা না করতে উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নেমে আসে এবং আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়নের আল্টিমেটাম দেয়।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পরিণত হয়, যেখানে তারা ডাকসুর রূপরেখা প্রণয়নের দাবি তোলেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন, যার মধ্যে ছিল—‘ডাকসু আমার অধিকার, বাধা দেয় সাধ্য কার’, ‘মধুর ক্যান্টিন/চাঁদাবাজি/টেম্পু/গণরুম/গেস্টরুম না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’, ‘ডাকসু যারা চায় না, শিক্ষার্থীদের শত্রু তারা’, ‘১,২,৩,৪ ডাকসু আমার অধিকার’, ‘দিতে হবে দিতে হবে, ডাকসু দিতে হবে’, ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ প্রভৃতি স্লোগান।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, “যারা ডাকসু বন্ধের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় আছি। আমরা ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করেছি এবং কোনো ছাত্রসংগঠনের ভয়ে ডাকসু থেকে পিছু হটব না। যারা ডাকসুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তারা চাঁদাবাজি করে এবং আমাদের কাছে কোনো জায়গা থাকবে না।” তারা প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি তুলে ধরে বলেন, “অতিদ্রুত ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবি জোবায়ের বলেন, “ঢাবি শিক্ষার্থীরা হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছে। সুতরাং, নতুন কোনো দানব সৃষ্টি হলে শিক্ষার্থীরা তাদেরও পালাতে বাধ্য করবে। ছাত্রদল যখন দেখেছে তারা ডাকসুতে জিততে পারবে না, তখন তারা উপাচার্যের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা এই প্রশাসনের সঙ্গেই আছি।”

মাহিন সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক, বলেন, “উপাচার্যকে অপমান করা মাধ্যমে ছাত্রদল পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কেই অপমান করেছে। আমরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি। শিক্ষার্থী নির্যাতনের পুনরাবৃত্তি আর চাই না।”